,

পাগলের কান্নায় সবার চোখে পানি

মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরের মস্তফাপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একটি হনুমান মারা যায়। বৃহস্পতিবার সকালে মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু এই হনুমানের লাশ কাঁধে নিয়ে আহাজারি করছেন মনি পাগল। কারণ হনুমানটিকে লালন-পালন করতেন স্থানীয় সনাতন সাধক মনি পাগল। হনুমানের লাশ কাঁধে নিয়ে তার আহাজারিতে সবার চোখে পানি এসে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোট্ট দুটি হনুমানের বাচ্চাকে উন্মুক্তভাবে লালন-পালন করতেন মাদারীপুরের মস্তফাপুরের নরোত্তম ব্রজবাসী সেবাশ্রমের সেবাইত ও সাধক মনি পাগল। জোড়া হনুমানের একটি বেশ কয়েক বছর আগে কেবা কারা বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার পর একটি হনুমানই ছিল সাধকের শেষ সম্বল। হনুমানটি ঘিরে ছিল সাধকের অনেক স্বপ্ন।

কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে হনুমানটি মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি বহুতল ভবন থেকে লাফ দিতে গেলে বৈদ্যুতিক খুঁটির ক্যাবলের সঙ্গে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যায়। খবর পেয়ে মনি পাগল ছুটে এসে হনুমানের লাশটি কখনো কাঁধে, কখনো কোলে কিংবা কখনো মাটিতে রেখে কান্নাকাটি ও আহাজারি শুরু করেন। কোনোভাবেই থামছে না তার কান্না।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে মনি পাগল বলেন, আমার বুকের মধ্যে পোলা মইর্যা যাওয়ার ব্যথা হইতেছে। আমি এখন কোথায় পাব আমার হনুমানটিকে। আগেরটিকে বিষ খাওয়াইয়া মারছে। এহন এই হনুমানটাও মরলো। কথাগুলো বলতে বলতে বিলাপ করতে থাকেন মনি পাগল। তার কান্না দেখে আরও অনেক লোকজন হনুমানের লাশটির কাছে এসে জড়ো হয়। এ সময় তার কান্নায় সবার চোখে জল নামে।

মনি পাগল আরও বলেন, আমি আমার হনুমানটির চামড়া ও মুখ আমার কাছে রেখে দিতে চাই স্মৃতি হিসেবে। হনুমানটিকে আমি খুব ভালোবাসতাম। আমার কলিজা শেষ।

এ বিষয়ে মাদারীপুরের ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা তাপস সেন বলেন, যেহেতু হনুমানটি মারা গেছে সেহেতু আমাদের এটা নিয়ে তেমন কিছুই করার নেই।

এই বিভাগের আরও খবর